বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন কলেজে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, চাকরির জয়েনিং লেটারও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে শাসক দল।
তৃণমূলের দাবি, ১৯৮৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (লাইব্রেরি ক্লার্ক) হিসেবে যোগদান করেন। সরকারি অর্ডার নম্বর ২১৩১-ইডিএন (সিএস)-এর অধীনে। তাঁর পূর্বসূরি এ কে বড়ুয়ার পদে তিনি যোগদান করেন ৩০০ টাকা বেসিক পে-তে।
শাসক দলের এক নেতার দাবি, চাকরি পাওয়ার জন্য কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি মিলিদেবীকে, কারণ সিপিএমের সুপারিশেই হয়ে যায় তাঁর কর্মসংস্থান। ৩০ এপ্রিল ২০২১ সালে তিনি ৫৫,০০০ টাকার বেসিক পে-তে অবসর নেন। এখন তিনি রাজ্য সরকারের পেনশন ভোগ করছেন।
১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ক্লার্কের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মিলি। তিনি প্রয়াত শান্তিময় ভট্টাচার্যের মেয়ে। শান্তিময়বাবু দীর্ঘদিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, বাবা ও স্বামীর সুপারিশেই পরীক্ষা না দিয়ে কলেজের চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন মিলিদেবী।