আমজনতাকে ফের সমস্যায় ফেলল মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত। প্যান কার্ডে আধার কার্ড যোগ নির্দেশিকা কেন্দ্রের নতুন নিয়মের জেরে দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ। আসা যাক, উত্তর ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের কথা। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের বসবাস সেখানে। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসার। এই মাসেই শেষ হচ্ছে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ করার সময়সীমা। আরে শেষ বেলায় বাড়ছে জটিলতা। প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের জন্মতারিখ থেকে শুরু করে নামের বানান পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের সমস্যা ধরা পড়ছে।
প্রসঙ্গত, সংযোগ করলেও কতটা গ্যারান্টি থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মোদী এর বিরোধিতা করেছিলেন। বর্তমানে তার সময়ে তিনি আবার তার উপরেই জোর দিয়েছেন। কেন্দ্র সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বাড়িতেই প্রায় দু-তিনটি করে ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে। এবং তার জন্য করতে হয়েছে প্যান কার্ড। আর তাতে এই আধার কার্ড লিঙ্ক করাতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। এখন তা ১০০০টাকা। যা একসময় বিনামূল্যে করা যেত। বলা হয়েছে ১লা মার্চে থেকে দশগুণ বেড়ে যাবে। আদৌ যে পয়লা মার্চের পর থেকে সংযুক্তিকরণ গ্রাহ্য হবে কিনা, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাতেই মানুষের সমস্যা।
উল্লেখ্য, গ্রামবাংলার ছাপোষা মানুষের এই এক হাজার টাকা করে কেড়ে নেওয়ার অর্থ তাদের ভাতে মারার সমান। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংযুক্তিকরণ না হলে প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে আয়কর দফতর। নির্ধারিত সময়ে পেরিয়ে গেলে দুই কার্ডের সংযোগ করাতে গেলে সেটা আবার একলাফে অঙ্ক বেড়ে ১০০০ এ দাঁড়িয়ে যাবে। হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়া তথ্য মিত্র কেন্দ্রের সঞ্চালক মিন্টু গাজী জানাচ্ছেন, হঠাৎই এই নির্দেশিকা জারি করার ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন এলাকার সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ।অনেকে বলছেন, এই নিয়ম না হঠালে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।