নিজের পছন্দমতন যাকে খুশি নির্বাচন কমিশনারের পদে বসিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। একবার নয়, বার বার এই অভিযোগ উঠছিল গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধে। এবার সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ‘তিন সদস্যের এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিসনার সহ বাকি নির্বাচন কমিশনারদের বেছে নেবে। ওই কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা ও দেশের প্রধান বিচারপতি।’
কার্যত পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনারের পদে বসিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার যে খালা শুরু করেছিলেন মোদি-শাহ সেই খেলাই এবার শেষ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আর তাই দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা এবং সমাজকর্মীরা। স্বাগত জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে মমতা একটি ট্যুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এই যুগান্তকারী আদেশ গণতন্ত্রের বিজয়! নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। অত্যাচারী শক্তির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণের ইচ্ছারই জয় হয়েছে।’