বাস্তবে এ পৃথিবীর মানচিত্রে অস্তিত্ব নেই এরকম কোনও দেশের! তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে দেখা গেল ‘রিপাবলিক অফ কৈলাস’-এর প্রতিনিধিকে। কী এই রিপাবলিক অফ কৈলাস? ভারতের পলাতক ধর্মগুরু নিত্যানন্দ এই কাল্পনিক দেশটি তৈরি করেছেন। এই স্বঘোষিত হিন্দু ধর্মগুরুর সুরক্ষা দাবি করে সে দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকেও। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষা কমিটি (সিইএসসিআর) একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল। সেই বৈঠকে অভিনব সাজে দেখা গিয়েছে নিত্যানন্দের কৈলাসের এক মহিলা প্রতিনিধিকে। মহিলার পরনে ছিল গাঢ় গেরুয়া বর্ণের শাড়ি। সেই সঙ্গে মাথায় কালো পাগড়ি পরেছিলেন তিনি। মাথায় টিকলি, নাকে নাকছাবি, গলার হার থেকে হাতের বালা, কৈলাসের প্রতিনিধির গা ভর্তি ছিল হরেক গয়নায়। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। সমাজমাধ্যমে উঠেছে হাসির রোলও।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপুঞ্জে নিত্যানন্দের সুরক্ষা দাবি করেছেন কৈলাসের প্রতিনিধি। পাশাপাশি, নিজের দেশের স্থায়ী উন্নয়নের দিকেও আলোকপাত করেছেন। তাঁর দাবি, কৈলাসে খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা এবং চিকিৎসার পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কৈলাসের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে জানান, হিন্দু ধর্মের প্রাচীন ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে গিয়ে নিত্যানন্দ নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁর নিজের দেশ থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিত্যানন্দের সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, জানতে চেয়েছেন প্রতিনিধি। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই বৈঠকে কৈলাসের তরফে মোট দু’জন প্রতিনিধি মতামত জানিয়েছেন বলে খবর। ২০১০ সালে কর্ণাটকের রামনগরে নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার ভিত্তিতে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন। ২০২০ সালে নিত্যানন্দের জামিন বাতিল করা হয়। অভিযোগ, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। গত বছরের আগস্ট মাসে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে।