মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করে দেয় বিজেপি। সিবিআই-ইডির মত এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। দিল্লীর আবগারি দুর্নীতি মামলায় আজ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই মামলায় আগামী রবিবার দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। তাই মণীশের পরে কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদ দেখে অনেকেই মনে করছেন ক্রমশ বৃত্ত ছোট করে আনছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। যার চূড়ান্ত লক্ষ্য আবগারি দুর্নীতিতে আদালতে জমা দেওয়া দ্বিতীয় চার্জশিটে নাম থাকা স্বয়ং কেজরিওয়াল।
দিল্লী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নতুন আবগারি নীতির মাধ্যমে ঘুরপথে বেআইনি ভাবে ঘনিষ্ঠ লোকেদের মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দিতে পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করেছিলেন আপ শীর্ষ নেতৃত্ব। ইডি সূত্রের মতে, ২০২১-২২ সালে যখন আবগারি নীতি তৈরি হচ্ছিল সেই সময়ে ওই বৈঠকে কেন বৈভবের উপস্থিতির প্রয়োজন ছিল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আপের ঘরোয়া বৃত্তে বৈভবকে কেজরিওয়ালের কার্যত ছায়াসঙ্গী হিসাবে ধরা হয়। তাই প্রশাসনে কেজরীওয়ালের ডান হাত মণীশ সিসৌদিয়ার পরে এ বার যে ভাবে আর এক ঘনিষ্ঠ বৈভবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি, তা থেকে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে তদন্তকারী সংস্থার প্রধান নিশানা হতে পারেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী। যদিও কেজরীওয়াল বলেছেন, ‘ইডির ওই মামলা অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার নয়। আসলে ভয় দেখিয়ে শাসক দলের জন্য বিধায়ক বেচাকেনায় সাহায্য করে থাকে ইডি।’