গত বছর অক্টোবরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে লাইট পোস্টে বেঁধে কিছু নিরীহ মুসলিম যুবককে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে দেখা গিয়েছিল মোদী রাজ্যের পুলিশকে। গুজরাতের খেদা জেলার উধেলা গ্রামের ওই ঘটনায় গুজরায় পুলিশের বিরুদ্ধে বর্বরতার অভিযোগ জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা সাকেত গোখলে। আহত যুবকেরাও গুজরাত হাইকোর্টে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন। এবার হাইকোর্টে পুলিশের প্রকাশ্যে লাঠিপেটার পক্ষে সাফাই দিল গুজরাতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার গড়িয়া হলফনামায় বলেছেন, এলাকায় শান্তি এবং সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই ওই যুবকদের প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছিল। কারণ তাদের প্রতি জনরোষ তৈরি হয়েছিল এলাকায়। এমনকী গ্রেফতার করার পর তারা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পুলিশের অভিযোগ ছিল, ওই যুবকেরা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসবের জড়ো হওয়া লোকজনের দিকে পাথর ছুঁড়েছে। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আঘাত লাগে পুলিশেরও। তাই ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে মারধর ছিল শান্তি রক্ষার প্রয়াস। যদিও সমালোচকদের বক্তব্য ছিল, ভিডিওতে স্পষ্ট, গুজরাত পুলিশ বিচারকের ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছে। তারা ধৃতদের এভাবে মারধর করে সাজা দিতে পারে না।