বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ফের বিজেপিতে ভাঙন। দলের এক পরিচিত প্রভাবশালী নেতা সদলবলে পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে মঙ্গলবার যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হাত ধরে।
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া অঞ্চলের জেলেমারি গ্রামে যাঁর হাত ধরে গত বিধানসভা ভোটে এলাকায় বিজেপি প্রভাব বিস্তার করেছিল, পদ্ম শিবিরের সেই মণ্ডল কমিটির নেতা এবং মণ্ডল সভাপতির ভাই এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘শুভেন্দুর কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তৃণমূল ছেড়ে ধর্মের নামে রাজনীতি করতে গিয়ে গ্রামে বিভেদ তৈরি করেছি। এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং মানুষের সেবা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফিরে এলাম।’
কথা শেষ হতেই বক্তার পাশে দাঁড়ানো সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মীরা স্লোগান দেন, ‘জয় বাংলা’। এদিন সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, সবুজ প্রধান, জয়দেব দাস প্রমুখ।
জমি আন্দোলনের গর্ভগৃহ নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া এবং হরিপুরে এদিন দু’টি সভা ছিল তৃণমূলের। গ্রামগুলি মূল পাকা রাস্তা থেকে অনেকটাই ভিতরে। স্বভাবতই গাড়ি ছেড়ে প্রথমে পায়ে হেঁটে, পরে সাইকেলে করে সভাস্থলে পৌঁছন কুণাল ঘোষ। তাঁকে দেখে গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়ে যায়। উচ্ছ্বসিত তৃণমূল মুখপাত্র বেশ কিছুটা যাওয়ার পর একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন। খবর নেন, দিদির সুরক্ষা কবচের অন্তর্গত সমস্ত প্রকল্প ওই পরিবার পাচ্ছেন কি না। শেষে জল চেয়ে তেষ্টা মিটিয়ে সভার উদ্দেশে এগিয়ে যান তিনি। ভেকুটিয়ার সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে, মহিলাদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ও স্লোগানে গলা মেলানোয় দলীয় নেতাদের লড়াই করার মনোবল আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন স্থানীয় প্রবীণ নেতৃত্ব।