বাংলা নিজের টাকা দিয়েই নিজের কাজ করিয়ে নেবে। সম্প্রতি এক প্রশাসনিক সভা এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন কথা, তেমন কাজ। মঙ্গলবার জেলাগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়ে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, (১) মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্যের ৯ হাজার রাস্তা মেরামত, নতুন রাস্তা তৈরি ও সম্প্রসারণের জন্য টেন্ডার ডেকে ফেলতে হবে। (২) ওই সব রাস্তার দু’মাথায় বোর্ড লাগিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হবে দিল্লীর বদান্যতায় এই রাস্তা তৈরি হয়নি। তা হয়েছে রাজ্যের টাকায় (প্রকৃত শববন্ধ এখনও স্থির করেনি সরকার)। (৩) রাস্তা নির্মাণের কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। যাতে কোনও দুর্নীতি না হয়। তাই টেন্ডার ডাকার কাজে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিকে যুক্ত করা যাবে না। জেলাশাসক, বিডিও বা এসডিও-র দফতর থেকে দরপত্র ডাকা হবে।
বাংলার গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজে অনেক দিন হল টাকা দেয়নি দিল্লী। আর এই পরিস্থিতিকেই উল্টে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে চাইছেন মমতা। তিনি সকলেবের কাছে এই বার্তা পৌঁছতে চাইছেন যে, কেন্দ্র টাকা আটকালেও বাংলায় গ্রামের কাজ আটকে থাকবে না। পঞ্চায়েত দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৭ মার্চের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, রাস্তা নির্মাণ বা মেরামত করতে গিয়ে যেন বৈষম্য না হয়। পাশাপাশি দু’টো গ্রামের দু’টো ভাঙা রাস্তার মধ্যে একটার কাজ শুরু হলে অন্যটার কাজ যেন পড়ে না থাকে। এই রাস্তা সারাইয়ের কাজে সমীক্ষা করা হবে জেলাওয়াড়ি। সেই কাজে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরাই হবেন নোডাল অফিসার। ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাস্তার তালিকা জেলা থেকে পাঠিয়ে দিতে হবে নবান্নে। তারপর রাজ্য সরকার তাতে সিলমোহর দেবে।