কেশপুরে জনসভা করতে যাওয়ার পথে ফের মাঝপথে নেমে গ্রাম পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন। শুধু শুনলেনই না। নিজের ফোনে নোট করলেন সব।
এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিনশহর গ্রামের বাসিন্দারা বেশিরভাগই জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানালেন তাঁকে। আর তা শুনে গ্রামবাসীদের সামনে থেকেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। পাট্টা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের কথা বলেন।
এর পর তিনি গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সামনে আমি সেচমন্ত্রীকে ফোন করছি।’ এই বলে তিনি রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থকে ফোন করেন। প্রথমে ফোনটি ধরেননি পার্থ। এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পার্থ ফোন করেন অভিষেককে। পার্থের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান অভিষেক। তিনি বলেন, ‘পার্থদা তোমরা শরীর ঠিক আছে? জানি তোমার অস্ত্রোপচার হয়েছে।’
এর পর মাতকাতপুরের ওই দেড়শো পরিবারের সমস্যার কথা পার্থকে বলেন অভিষেক। ওই পরিবারগুলিকে পাট্টা দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। বিষয়টিকে ‘অগ্রাধিকার’ দিয়ে দেখার অনুরোধও করেন রাজ্যের মন্ত্রীকে। তিনি ফোনে বলেন, ‘না হলে এঁরা (মাতকাতপুরের বাসিন্দারা) সরকারি সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন না। নিয়মকানুন মেনে যত দ্রুত সম্ভব করে দিও।’
পরবর্তী কালে গ্রামবাসীদেরও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করার জন্য বলেন অভিষেক। ওই গ্রামের রাস্তা, পানীয় জল ইত্যাদি পরিষেবা নিয়েও শনিবার খোঁজখবর নেন অভিষেক। সেখান থেকে তিনি রওনা দেন কেশপুরের উদ্দেশে। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভার আগে পথ বদলে সেখানকার একটি গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন অভিষেক। সেখানকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানতে চান তিনি।