নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশের গণতান্ত্রিক পরিসর। বিপন্ন হয়েছে বাকস্বাধীনতা। রাষ্ট্রীয় কোপের কবল থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। এমতাবস্থায় সুস্থ গণতন্ত্র ফেরাতে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই, এমনই মনে করছেন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। তাঁর মতে, ভারতে এমন একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাতে হবে যাতে কোনও একটা দল বাকি দলগুলিকে সংকুচিত করে রাখতে পারবে না। আর সেটা করতে হলে কংগ্রেসকে শক্তিশালী হতেই হবে। ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ বরাবর মোদী-বিরোধী মুখ হিসাবে পরিচিত। আবার অতীতে কংগ্রেসেরও সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। রাহুল গান্ধীর সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আসলে বিরোধী হিসাবে কংগ্রেসের ভুমিকায় সন্তুষ্ট নন ইতিহাসবিদ। তিনি বলেছেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি ১৯১টি আসনে লড়াই হয়েছে কংগ্রেসের। তার মধ্যে মাত্র ১৬টি আসন দখল করতে পেরেছে হাত শিবির। অর্থাৎ সাফল্যের হার মাত্র ৮ শতাংশ।
এপ্রসঙ্গে রামচন্দ্র গুহ সাফ জানিয়েছেন, বিজেপির আধিপত্য রুখতে হলে কংগ্রেসকেই শক্তিশালী হতে হবে। কারণ আর কোনও দলের পক্ষে সব রাজ্যে বিজেপিকে আটকানো সম্ভব নয়। বাকি দলগুলি বড়জোর কংগ্রেসকে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে ‘কংগ্রেস প্লাস প্লাস’ তত্ত্ব তুলে ধরেছেন তিনি। বোঝাতে চেয়েছেন, বিজেপিকে হারাতে হলে আরও শক্তিশালী, আরও সফল কংগ্রেসকে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করতে হবে। “জেডিইউ, আপ, ডিএমকে বা তৃণমূলের মতো দলগুলি মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক বা হিমাচলপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিজেপির সামনে দাঁড়াতে পারবে না। একমাত্র কংগ্রেসই একটা বিরোধী দল যাঁদের ৮ থেকে ১২টি রাজ্যে শক্তি আছে। তাই কংগ্রেসকে শক্তিশালী হতে হবে”, জানিয়েছেন প্রবীণ ইতিহাসবিদ।