সম্প্রতিই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছেন ভারতের মেয়েরা। উল্লেখ্য, এই বিশ্বজয়ী দলে রয়েছেন তিন বঙ্গতনয়া। রিচা ঘোষ, তিতাস সাধু, হৃষিতা বসু। ফাইনালে হুগলির তিতাসের সুইংয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিতাস। এবার সেই মেয়ের মা, বাবাকে শুভেচ্ছা জানাল হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার তিতাসের বাড়ি গিয়ে তাঁর বাবা মায়ের হাতে ফুলের স্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। চুঁচুড়ায় ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় তিতাসের বাড়িতে যান ধনিয়াখালির বিধায়ক তৃণমূল চেয়ারপারসন অসীমা পাত্র, চাঁপদানীর বিধায়ক তৃণমূল জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, হুগলি জেলা মহিলা তৃণমূল শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, জেলা যুব তৃণমূল সভানেত্রী রুনা খাতুন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী, চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়রা। তিতাসের বাবা রণদীপ সাধু এবং মা ভ্রমরদেবীর পাশাপাশি গর্বিত তাঁর জেলাও।
ইতিমধ্যেই তিতাস, রিচা ও হৃষিতার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিতাস বাড়ি ফিরলে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়ার আয়োজনও করা হয়েছে। ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, “তিতাস শুধু হুগলি নয়, রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। তাঁর এই সাফল্যের পিছনে তাঁর বাবা মায়ের অবদান রয়েছে। তিতাস এখনও বাড়ি ফেরেনি, তাই তাঁর বাবা মাকে আমরা শুভেচ্ছা জানালাম। পরে তিতাস ফিরলে তাঁকেও সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।” তিতাসের মা ভ্রমরদেবী বলেন, “আমি খুশি তিতাসের সাফল্যে। তবে সবে শুরু করেছে। এখনও অনেক পথ বাকি। পা মাটিতে রেখে যেন ও খেলা চালিয়ে যেতে পারে।” বাবা রণদীপবাবু বলেন, “যারা চুঁচুড়ার মাঠের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা জানেন কী কঠিন পরিশ্রম করেছে তিতাস। সেই পরিশ্রমের ফল ও পেয়েছে। আগামী দিন আরও কঠিন তাই পরিশ্রম করে যেতে হবে। খেলোয়ারদের জীবন এ রকমই। এক দিন ছয় মারে, এক দিন শূন্য রানে আউট। তাই ভাল সময় যেমন পাশে থাকবেন, তেমনই খারাপ সময়ও থাকবেন। সেটাই চাইব।” বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে, বুধবার আহমেদাবাদে সম্মান জানানো হবে তিতাসদের। সংবর্ধনা দেবেন কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকর।