ফের বিশ্বসংস্কৃতির দরবারে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে বাংলার নাম। অস্কারের দৌড়ে ফের সামিল বাংলা। গত বছর সুস্মিত ঘোষের পর এ বার শৌনক সেন। সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে মনোনীত হয়েছে বঙ্গতনয় শৌনকের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’। গোল্ডেন গ্লোবসের পর এ বারও সাফল্যের দৌড়ে সামিল এস এস রাজামৌলির ‘আরআরআর’। সেরা গানের বিভাগে মনোনীত হয়ে ইতিহাস গড়ল ছবিটি। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে মনোনয়ন অর্জন করল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। অনাথ হাতির সঙ্গে তার পালকদের সম্পর্কের অটুট বন্ধন ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে এই ছবির পটভূমি। ছবিটির পরিচালক ভারতের চিত্র সাংবাদিক এবং তথ্যচিত্র পরিচালক কার্তিকী গনসালভেস।
পাশাপাশি, প্রবল চর্চায় থাকা সত্ত্বেও ছিটকে গেল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘কান্তারা’, ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র মতো ছবিগুলি। তালিকায় জায়গা পায়নি পান নলিনের গুজরাতি ছবি ‘ছেলো শো’ও। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে ট্রোলের ঝড়। লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছে ‘কাশ্মীর ফাইলস’। কাশ্মীরী পণ্ডিতদের হত্যা নিয়ে তৈরি এই ছবি সম্পর্কে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। অস্কারে মনোনীত ভারতীয় ছবিগুলির তালিকা প্রকাশ পেতেই শুরু হয় ট্রোল। ট্যুইটারে বিবেকের উদ্দেশে অনেকেরই প্রশ্ন, “আপনার ‘কাশ্মীর ফাইলস’ কোথায় গেল?” শুধু তাই নয়। “শুনেছিলাম ‘কাশ্মীর ফাইলস’ নাকি অস্কারে যাচ্ছে”, উপহাস করে এমনই লিখেছেন অনেকে।