অব্যাহত জট। আজ ফের স্থগিত হয়ে গেল দিল্লীর মেয়র নির্বাচন। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৬ই জানুয়ারি দিল্লীর নবনির্বাচিত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণের আগে ঝামেলা হওয়ায় স্থগিত হয়েছিল মেয়র নির্বাচন। মঙ্গলবারও এমসিডি সদর দফতরের সিভিক সেন্টার সাক্ষী থাকল হট্টগোলের। উল্লেখ্য, গত মাসে পুর নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়েছিল আম আদমি পার্টি। তবে মেয়র পদের নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। এই আবহে কাউন্সিলর কেনা-বেচার অভিযোগ ওঠে। তাছাড়া মনোনীত প্রার্থীদের ভোটাধিকার নিয়েও দুই পক্ষের বিরোধ জারি রয়েছে। মেয়র পদের জন্য আম আদমি পার্টির প্রার্থী শেলি ওবেরয়। কেজরিওয়ালের দলের ডেপুটি মেয়রের পদপ্রার্থী হলেন আলে মহম্মদ ইকবাল। এদিকে বিজেপির মেয়র পদের প্রার্থী রেখা গুপ্তা। গেরুয়া শিবিরের ডেপুটি মেয়রের পদপ্রার্থী হলেন কমল বগরি। আজ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণের পরই স্লোগান উঠতে শুরু করে। এরপর দুই পক্ষের ঝামেলার মধ্যে মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। আজ শপথ গ্রহণের পরই কক্ষের নেতা মুকেশ গোয়াল প্রিসাইডিং অফিসার সত্য শর্মার কাছে আবেদন করেন, যাতে মনোনীত কাউন্সিলররা যাতে মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারেন।
খানিকক্ষণের বিরতি নিয়ে এরপরই আরম্ভ হয় অধিবেশনে। শুরু হয় ঝামেলা। উল্লেখ্য, দিল্লী মেয়র নির্বাচনে ভোটাধিকার রয়েছে নির্বাচিত ২৫০ কাউন্সিলর, ১৪ জন বিধায়ক এবং ১০ জন সাংসদ। উল্লেখ্য, সত্য শর্মাকে অস্থায়ী স্পিকার হিসেবে নিয়োগ করেছেন দিল্লর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। উল্লেখ্য, পুর নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে কড়া টক্কর দিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেকটা দূরেই থমকে গিয়েছিল বিজেপি। এই আবহে প্রাথমিক ভাবে মেয়র নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিজেপি। তবে পরবর্তীতে গেরুয়াশিবির জানায়, তারা মেয়র নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রসঙ্গত, বিগত ১৫ বছর ধরে দিল্লী পুরনিগম দখলে রয়েছে বিজেপির। এতবছর অবশ্য দিল্লী পুরনিগম তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। ২০১২ সালের পর এই প্রথম ফের অভিবক্ত দিল্লী পুরনিগমের ভোট হয়। আর এই প্রথম পুরনির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দেয় আম আদমি পার্টি। ২৫০ ওয়ার্ডের দিল্লী পুরসভায় আম আদমি পার্টি জিতেছে ১৩৪টি ওয়ার্ড। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ১০৪টি ওয়ার্ড। এদিকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জনকে মনোনীত করেছেন। এদিকে ইলেক্টোরাল কলেজে আম আদমি পার্টির কাছে ১৫০ জনের সমর্থন রয়েছে। অপরদিকে ১১৩ জনের সমর্থন রয়েছে গেরুয়াশিবিরের সঙ্গে।