জেলায় জেলায় ঘুরে আবাস যোজনায় সেই অর্থে কোনও গরমিলই খুঁজে রাজ্যে পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মালদহ থেকে পূর্ব বর্ধমান– সর্বত্র এক ছবি। বিজেপি নেতাদের তোলা বেশিরভাগ নালিশই ‘ভুয়ো’ প্রমাণিত হয়েছে। যার ফলে শীতের পর্যটকে পরিণত বনে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বরং গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে শুক্রবারই আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের একাংশও স্বীকার করেছেন, প্রতি জেলায় আবাস নিয়ে রাজ্যের কড়া মনোভাবেরই প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রের শর্ত মেনে রাজ্য কড়া হওয়ায় বেশ কিছু নাম বাদ পড়েছে।
এখানেই গোল বেঁধেছে। আসলে আবাস যোজনায় কারা অন্তর্ভুক্ত হবেন তার জন্য ১৫ দফা শর্ত বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এই ১৫টি জিনিসের যে কোনও একটি থাকলে উপভোক্তা আবাস যোজনায় বাড়ি পাবেন না। যা একপ্রকার অবাস্তব বলে অভিযোগ। সেই শর্তের পাহাড় পেরিয়ে, ত্রিস্তরীয় ছাকানিতে সাড়ে ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে বাছাই করেছে রাজ্য। বিজেপির মুখরক্ষায় সেই অবাস্তব শর্তের কথাই বারবার টেনে আনছে দফায় দফায় রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলের একাংশ। যা শুনে পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রও জানে, ওই শর্তাবলি অবাস্তব। পুঙ্খানুপুঙ্খ মানতে গেলে একজনও বাড়ি তৈরির টাকা পাবেন না।’ কারণ শর্তাবলীতে ল্যান্ডলাইন ফোন, ফ্রিজ, বাইক, যন্ত্রচালিত ভ্যান, মাছ ধরার ট্রলার থাকা চলবে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।