একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকে বারংবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতে এখন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গোটা এলাকা। বুধবার গভীর রাতে যেমন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য বুদ্ধদেব মুনিয়ানের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় ওই নেতা ও তাঁর স্ত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুদ্ধদেবের দাবি, তিনি আক্রমণকারীদের দু’জনকে চেনেন। তাঁরা বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত।
বুদ্ধদেব জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রবল চিৎকারে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি দেখেন একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছে। বাইরে দাঁড় করানো তাঁর মোটর বাইকটি ভেঙে চুরমার করছে তারা। তিনি বাধা দিতে গেলে প্রথমে অকথ্য ভাষা আর তার পরেই তাঁর দিকে উড়ে আসে একটি বোমা। বাড়ির দরজার সামনে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। আহত হন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী।
বুদ্ধদেবের কথায়, ‘যারা হামলা চালিয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আমি চিনতে পেরেছি। ওরা বিজেপি করে। আমাকে, আমার পরিবারকে গালি দিয়েছে আমি তৃণমূল করি বলে। ওরা শাসানি দিয়ে গিয়েছে, যদি আমি তৃণমূল না ছাড়ি তা হলে আবারও আমায় ‘শিক্ষা’ দিয়ে যাবে। পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি ভীত। ইতিমধ্যে পুলিশকে সব জানিয়েছি।’ এ নিয়ে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের অভিযোগ, ‘গোকুলনগর অঞ্চলের পারুলবাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ২৪৭ এবং ২৪৮ নম্বর বুথ কমিটির সদস্য বুদ্ধদেব মুনিয়ানের বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। এখন মহেশপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।’ তৃণমূল নেতার সাফ কথা, ‘এভাবে বোমাবাজি, হামলা চালিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখানো যাবে না।’