বেশ কিছুদিন ধরেই মোদী সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থার অবসান দরকার। যা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দিন দিন বিচারালয়ের বিরোধ ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৌরভ কৃপাল, যাঁকে গত পাঁচ বছর ধরে দিল্লী হাই কোর্টের বিচারপতি করার প্রস্তাব দিয়ে চলেছে কলেজিয়াম তাঁর নিয়োগ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এই প্রথম কৃপালকে বিচারপতি না করার পক্ষে কেন্দ্রের যুক্তি নিয়ে সর্বসমক্ষে মন্তব্য করল। উল্লেখ্য, এই নিয়ে তৃতীয়বার সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতির পদের জন্য সৌরভ কৃপালের নাম প্রস্তাব করল। আর সেই সঙ্গে কেন্দ্র কৃপালকে বিচারপতি না করার পক্ষে যে দু’টি যুক্তি দিচ্ছে তাকে খারিজও করে দিল।
সরকারের তরফে প্রথম থেকেই জানানো হয়েছে, সৌরভ কৃপাল খোলাখুলি ভাবে একজন সমকামী। তাছাড়া তাঁর সঙ্গী একজন সুইডিশ এবং তিনি সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসে কাজ করেন। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের যুক্তি, গোয়েন্দা বিভাগের তরফে এমন কোনও তথ্য মেলেনি যা থেকে মনে করা যায়, ওই সুইডিশ ব্যক্তি দেশের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হতে পারেন। এ প্রসঙ্গে এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সুইজারল্যান্ড ভারতের ‘বন্ধু’ দেশ। তাছাড়া সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তির যদি বিদেশি স্ত্রী থাকতে পারে, তাহলে কৃপালের ক্ষেত্রে কেন সেটা আপত্তির কারণ হবে, এই প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যেভাবে সর্বসমক্ষে কৃপাল নিজের যৌন পছন্দ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। বিচারপতি প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজের সমকামিতার বিষয়টি গোপন রাখেননি। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, উনি বিচারপতি হলে দিল্লী হাই কোর্টের বেঞ্চে তা নতুন মাত্রা যোগ করবে।