তাৎপর্যপূর্ণ ট্রায়াল চালু হতে চলেছে নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
বর্তমানে কেমিক্যাল এবং ওষুধের মাধ্যমে দিয়ে চিকিৎসা করা হয় ক্ষত, পোড়া জায়গা অথবা অস্ত্রোপচারের। কিন্তু এবার ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলতে ব্যবহার হবে প্লাসেন্টা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্ষত স্থান বা পোড়া স্থান সারিয়ে তুলতে অনবদ্য কাজ করে প্লাসেন্টা। এবার তারই ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্লাসেন্টাকে সামান্য প্রসেস করে তৈরি করা হবে আমকপ্লাস্ট। সেই আমকোপ্লাস্ট ব্যবহার করেই দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে ক্ষমতায়। জানা গিয়েছে, গোটা দেশে পুরো ৫ টি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ২০৪ জন মানুষের ওপর এই ট্রায়াল করা হবে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এন আর এস হাসপাতালে ৩০ জনের উপর হবে এই ট্রায়াল। ট্রায়ালের পদ্ধতি হিসেবে ৬৮ জন করে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম ৬৮ জনকে দেওয়া হবে বর্তমান স্ট্যান্ডার্ড কেয়ার। অপর ৬৮ জনকে দেওয়া নতুন প্লাসেন্টা পদ্ধতি। বাকি ৬৮ জনকে স্ট্যান্ডার্ড কেয়ারের পাশাপাশি দেওয়া হবে প্লাসেন্টা পদ্ধতি। পুরো ট্রায়ালের সময়সীমা হবে ৪ সপ্তাহ। ট্রায়ালের জন্যে ক্ষত হবে ৫ স্কয়ার সেন্টিমিটার ১০ স্কয়ার সেন্টিমিটার এবং ডেপ্থ হতে হবে ৪ মিলিমিটার। এই ট্রায়ালের প্রসঙ্গে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী জানান,” এই প্লাসেন্টা এর সঙ্গে কিছু মিশিয়ে আমরা দেখছি ক্ষত স্থান দ্রুত সারিয়ে নেওয়া যায় কিনা। সেই ট্রায়ালই আমরা শুরু করছি।” এবিষয় মুখ খোলেন ভ্যাকসিন ট্রায়াল ফেসিসিলেটর স্নেহেন্দু কোনার। “মূলত ফেলে দেওয়ার হয়। তবে এবার ভারতবর্ষের একটি কোম্পানি সেটা ব্যবহার করে ক্ষত স্থান নির্মূল করানোর ভাবনা নিয়েছে। প্রথম ট্রায়ালে মোটামুটি ভালই ফল হয়েছে। এবার সরকারি হাসপাতালে শুরু হবে ট্রায়াল”, জানিয়েছেন তিনি।