ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে প্রতিবাদ। মোদী জমানায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারীসুরক্ষা ও স্বাধীনতা। গত বছর মুক্তি পেয়েছে বিলকিস বানোর ধর্ষকরা। আর এবার প্যারোলে ছাড়া হচ্ছে উন্নাও ধর্ষকদের। কিন্তু ধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের প্যারোল মঞ্জুর হতেই চরম আতঙ্কে দিন কাটাতে শুরু করেছে নির্যাতিতার পরিবার। প্রসঙ্গত, ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগার মেয়ের বিয়ের জন্য প্যারোল চেয়েছিলেন। দিল্লি হাইকোর্ট ২৭শে জানুয়ারি থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধর্ষক তথা প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের প্যারোলের অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাণনাশের আশঙ্কায় নির্যাতিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্যাতিতার পরিবার ইতিমধ্যেই ভিডিওবার্তার মাধ্যমে এবং লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। নির্যাতিতার পরিবারের আশঙ্কা, জেল থেকে বেরলেই প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক মামলার সাক্ষীদের এবং নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদের খুন করতে পারে। এর পাশাপাশি সেনগারের প্যারোল পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। ওই ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশ হেফাজতে নির্যাতিতার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় সেনগারের দশ বছরের জেল হয়েছে। সেই মামলাতেও আদালতের কাছে অন্তর্বর্তী জামিন চেয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। আজ, বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন শুনানি হওয়ার কথা। এখন পরিস্থিতির কোন অভিমুখে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।