একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই এই মুহূর্তে তৃণমূলের পাখির চোখ মেঘালয়। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে অনেকদিন থেকেই ঘাঁটি মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ১১ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করায় এখন মেঘালয় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলই।
আগামী মাসের শুরুতেই মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচনেও অংশ নেবে বাংলার শাসকদল। এরই মধ্যে আগামিকাল, বুধবার মেঘালয়ের উত্তর গারো পাহাড়ে রাজনৈতিক সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে উত্তর গারো পাহাড়ের এক মাঠে এই জনসভা হবে।মেঘালয়ের বিশ্বাস জিততে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ‘মেঘালয় দিল্লী বা গুয়াহাটির সামনে মাথা নিচু করবে না। উত্তর-পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিলেন বাংলায়। আমরা তাঁদের জায়গা কোথায়, তা দেখিয়ে দিয়েছি।’
শুধু তাই নয়। অভিষেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন কারণ মুকুল সাংমা-সহ বিধায়করা এখানেরই স্থানীয় বাসিন্দা। অভিষেক আরও জানিয়েছিলেন, ‘এটা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস-বিজেপিকে, বিজেপি-কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি মুকুল সাংমাকে ধন্যবাদ দেব যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছেন। আমার অনুরোধ, বিজেপিকে ওদের পথ দেখিয়ে দিন। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সেই পূর্ব দিক থেকেই।’