ধনকর-পর্ব এখন অতীত। বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে কিছুদিন আগেই শপথ নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। আজ রাজভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার দেখা গেল, রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের সামনে মাইক হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশে হাসি মুখে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যের উপাচার্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ। আজকের বৈঠক এড়াননি কেউই। একদা জগদীপ ধনকর রাজ্যপাল থাকাকালীন রাজভবন ও রাজ্য সরকারের সংঘাত ছিল চরমে। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে সোচ্চার হতেন ধনকর। পাল্টা আক্রমণ করত শাসক দলও। তবে ধনকর উপ-রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল হয়ে আসেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি আসার পর থেকে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের সঙ্গে তেমন বিরোধ দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবনে রাজ্যের উপাচার্য ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বিরোধ নয়, রাজভবনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ হবে।” রাজভবন নিয়ে আগে শিক্ষামন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর একরাশ ক্ষোভ ছিল। বারবারই অভিযোগ করতেন, বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। তবে মঙ্গলবার যে বৈঠক হয়েছে তা থেকে পরিষ্কার যে, রাজ্য সরকার কোনওরকম বিরোধের পথে না হেঁটে আগামীতে কাজ করতে চায়। এদিন ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচক। তিনি আমাদের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হালহাকিকত খুঁটিনাটি খবর নিয়েছেন। রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতরের উপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।” এরপরই তিনি যোগ করেন, “রাজভবনের সঙ্গে বিরোধ নয়, সমন্বয়ের সম্পর্ক জারি থাকবে। অতীতে যে বাষ্প তৈরি হয়েছিল, তা উবে গেছে। আজ থেকে নবান্ন-রাজভবন-বিকাশভবন একসঙ্গে কাজ করবে।” এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ২২ জন উপাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিব। সেখানেই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সরকার কী কী করেছে, এবং আগামীতে কী কী করা হবে, সেসব বিষয়েই রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তাঁরা।