চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। যাত্রার প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর বিরতি চলছিল এতদিন। অবশেষে আজ দিল্লী থেকে শুরু হচ্ছে তার অন্তিম পর্ব। আজই যাত্রা উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করবে। ২৩ দিনের মাথায় তা শ্রীনগর পৌঁছবে। কংগ্রেস সরকারিভাবে যতই দাবি করুক, যাত্রার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই, শেষ পর্ব শুরুর আগে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ বলেছেন, রাহুলই ২০২৪ -এ বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী মুখ। যাত্রায় বিরোধী নেতা-নেত্রীদের শামিল করতে সক্রিয় হতেও দেখা গিয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতার যাত্রায় এ যাবৎ অবিজেপি, অকংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের মধ্যে একেবারে পয়লা দিনে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এমকে স্টালিন হাজির ছিলেন। পরবর্তীতে মহারাষ্ট্রে যোগ দেন শিবসেনা ও এনসিপি নেতারা। কিন্তু বিরোধী শিবিরের আর কাউকে দেখা যায়নি যাত্রায় পা মেলাতে। যদিও রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন, প্রয়াত সাংবাদিক গৌরী লংকেশের মা ও বোন, কমল হাসান সহ সিনেমা জগতের লোকজন সহ নাগরিক সমাজের বহু মানুষ রাহুলের সঙ্গে এ পর্যন্ত পা মিলিয়েছেন। এঁরা সকলেই যাত্রায় যোগ দিয়েছেন ব্যক্তিগত তাগিদ অথবা কংগ্রেস নেতাদের আমন্ত্রণে।
লক্ষণীয় হল, অন্তিম পর্বের যাত্রা শুরুর আগে স্বয়ং রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রাকে বিরোধী জোড়ো যাত্রার রূপ দিতে চেয়ে জনে জনে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত বলার মতো সাড়া পাননি। লোকসভা ভোটের ভাগ্য নির্ধারণ করে যে রাজ্য, গোবলয়ের সেই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভূমি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি রাহুলের ডাকে সাড়া দেয়নি। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব তবু রাহুলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠির জবাব দিয়েছেন। বহুজন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতী, রাষ্ট্রীয় লোকদলের জয়ন্ত চৌধুরী সেই সৌজন্যটুকুও দেখাননি।
অন্তিম পর্বে এখনও পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, পিডিপির মেহবুবা মুফতি এবং সিপিএমের বিধায়ক তারিগামি ছাড়া বিরোধী শিবিরের আর কোনও নেতানেত্রীর যাত্রায় যোগ দেওয়ার খবর নেই। এমনকী সিপিএম সহ বাম শিবিরও কেরালায় কংগ্রেস বিরোধিতার ধার অটুট রাখতে রাহুলের যাত্রা নিয়ে তেমন উৎসাহ দেখাচ্ছে না। আবার, রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার কংগ্রেসের প্রস্তাবে সায় দিলেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কিংবা তাঁর দল জনতা দল ইউনাইটেড যাত্রায় অংশ নেয়নি।