ফের বিরোদী দলনেতা তথা বিজেপি নেতাকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ফের শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। হুঁশিয়ারি দিলেন, ধর্মের নামে বিভেদ ছড়াতে এলে নন্দীগ্রামজুড়ে শুভেন্দুর নামে ‘নো এন্ট্রি’ পোস্টার পড়বে। বিরোধী দলনেতাকে ‘ভেজাল হিন্দু’ এবং ‘ডিফেক্টিভ’ বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ার ভুতামোড় এলাকায় বশ্যতা বিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি সভায় শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত তুলোধনা করেন কুণাল। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক রাজ্য। শুভেন্দু নির্বাচিত বিধায়ক হিসাবে এখানে আসতেই পারে। কিন্তু উন্নয়নের রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে যদি হিন্দু-মুসলমান করে, ধর্মের নামে ভেদাভেদ করে, যদি একটা সম্প্রদায়ের মানুষকে লাগাতার অপমান করা হয়, তাহলে নন্দীগ্রামজুড়ে ‘নো এন্ট্রি টু শুভেন্দু’ পোস্টার পড়বে।” এরপর সুর কেটে কুণালের কটাক্ষ, “তুমি রাস্তা দিয়ে যেতে পার, মনের দরজা দিয়ে যেতে পারবে না। নো এন্ট্রি টু গদ্দার, বেইমান, বিভীষণ।” নন্দীগ্রামের স্থানীয় নেতৃত্বকে ‘নো এন্ট্রি টু শুভেন্দু’ পোস্টার তৈরি করারও নির্দেশ দেন কুণাল।
পাশাপাশি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেভাবে ক্রমাগত আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে যাচ্ছেন, সেটা নিয়েও সভায় সরব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। কুণাল বলেন, “আমি হাই কোর্টকে অনুরোধ করব, আপনারা কাকে কী দেবেন, কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ঘুরে ঘুরে ধর্মের বিষ ছড়াচ্ছে, আদালত কি চোখে ঠুলি পরে বসে আছে? এটা হয় কখনও? আজকে কী করেছে তার জন্য রক্ষাকবচ, আগামিকাল কী করবে সেটা না জেনেই রক্ষাকবচ, সেটা হয় নাকি! আমরা আদালতে আস্থা রাখি। কিন্তু ও যে প্রত্যেকটা জায়গায় ঘুরে ঘুরে ধর্মের বিষ ছড়াচ্ছে, সেটা আদালত দেখতে পাচ্ছে না!” কুণালের অভিযোগ, “ভোটের সন্ত্রাসের নামে যার যার উপর রাগ আছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। সিবিআই, এনআইএ লাগিয়ে দিচ্ছে। অনেকে মাসের পর মাস জেলে। তাদের মধ্যে কিছু পরিবার চরম দুর্দশায় আছে।” কুণাল আশ্বাস দিয়েছেন, “আদালতের বিষয় আদালত দেখছে। কিন্তু যে পরিবারগুলির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় আটকে আছে, তাদের পাশে দল আছে। তাদের পরিবারের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা দল দেখছে।” এদিন নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভায় জনগণের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিকভাবেই যা মাথাব্যথা বাড়িয়েছে গেরুয়া-নেতৃত্বের।