আসানসোলের মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা না চেয়ে বাইরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শুভেন্দু। মালদার চা চক্র থেকে এবার ঠিক এই ভাষাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আসানসোলের কম্বল বিতরণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু নিয়ে শুভেন্দুকে দুষে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অমিত শাহকে ওঁর বিরুদ্ধে কী কী মামলা রয়েছে, তার যে পুস্তিকা দিয়েছে তাতে প্রথম মামলা হিসেবে সিবিআই-এর এফআইআর থাকা উচিত। যা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নারদের ঘটনায় চোর, তোলাবাজ হিসেবে সিবিআই করেছে। সেই মামলার কথা অমিত শাহকে দেওয়া পুস্তিকায় শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, নাকি এসবের থেকে বাঁচতে গিয়েছেন?’
কুণালের কটাক্ষ, ‘শুভেন্দু আজ কাঁথির যে মাঠে সভা করবেন, মাঠটিকে যেভাবে ঘেড়া হয়েছে তাতে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের বেশি মানুষ হবেন না। কাঁথিতে অভিষেকের সভা আর জনসমুদ্র তৃণমূলের দেখানো হয়ে গিয়েছে। ওঁরা রাস্তায় গন্ডগোল করে, নাটক করে, আমাদের ঘাড়ে দোষ দিত, কুৎসা করত, নাটক করত, আমরা প্ররোচনায় পা দিতে চাই না। তাই, স্থগিত রাখা হয়েছে তৃণমূলের কর্মসূচি।’ তাঁর দাবি, ‘অভিষেক ফোবিয়াতে ভুগছেন শুভেন্দু। কাঁথির কলেজ মাঠে যে লোক ছিল তার ৪-৫ গুণ লোক বাইরে ছিল। এতে শুভেন্দু ভয় পেয়েছেন। শুভেন্দু শয়নে স্বপনে জাগরণে শুধুই অভিষেক। অভিষেক যাহা পে খারা হোতা হ্যায়, ওহিসে শুভেন্দু কা লাইন গিন্তি শুরু হোতা হ্যায়।’
এরপরেই আসানসোলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর উপস্থিতিতে তিনজন মারা গিয়েছেন। শুভেন্দু ঘটনাস্থলেই ছিল। গাড়ি ঘুরিয়ে চলে এলেও উদ্ধারে যাননি। সেখানে উদ্ধার কার্য করেছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রী ও সাধারণ মানুষ।’ কুণালের সংযোজন, ‘এরপরও শুভেন্দু কত বড় অমানবিক যে কলকাতায় এসে অমিত শাহের জুতো পালিশ করেছে, দিল্লি গেলেন, আজ কাঁথি যাচ্ছেন। অথচ একবারও আসানসোলে নিহতদের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো উচিত ছিল না?’