একদিন আগে সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর খবর মিলেছিল বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে ফের উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি এই ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি। সিবিআই এত স্মার্ট, কীভাবে হেফাজতে থাকাকালীন একজনের মৃত্যু হল? ওঁর স্ত্রী এফআইআর করেছে। আমরাও এই ইস্যু সামনে আনব’। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ খুললেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
ইতিমধ্যেই লালনের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। অন্যদিকে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক দাবি করেছেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। কাঠগড়ায় তুলেছেন সিবিআই আধিকারিকদের। বিধাননগর মেলার উদ্বোধনে এসে লালন শেখের স্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সেন্ট্রাল এজেন্সি যা ইচ্ছা তাই করতে পারে না। কাউকে খুন করে দিতে পারে না। আজকে যা অবস্থা হচ্ছে যদি সত্যি সত্যি টাকা চেয়ে থাকে তাহলে সেন্ট্রাল এজেসির হায়েস্ট অফিসারদের দায়িত্ব নিতে হবে। এবার হয়তো হাইকোর্ট বুঝতে পারবেন যে সেন্ট্রাল এজেন্সি দিয়ে ইভেস্টিগেশন হয় না অত্যাচার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যখন নিয়ে এসেছিল তখন হাঁটতে পারছিল না। মারধর করা হয়েছে শুনেছি। সিআরপিএফ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। তার জন্যই মারা গিয়েছিল কিনা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে’।
অন্যদিকে শ্রীরামপুরে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা সাংঘাতিক ঘটনা। গোটা রাজ্যজুড়ে সিবিআই ঘুরছে। বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ সিবিআই হেফাজতে মারা গেলেন। এটা বিরাট দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। শুভেন্দু অধিকারী ১২ তারিখের একটা ডেট দিয়েছিলেন। আমাদের মনে হয় এই ডেটটার কথাই হয়তো বলছিলেন। এটা নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করা দরকার’।