একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই বাংলায় সাফ হতে শুরু করেছে পদ্ম। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে। কিন্তু তার আগেও বেহাল দশা বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের। এমনকী দলীয় বৈঠক ডাকলেও যে টেনেটুনে অর্ধেক লোক আসে, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশলের সামনেই সংগঠনের এই দুরবস্থার কথা স্বীকার করলেন জেলা নেতারা। মঙ্গলবার হাওড়ায় বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক ছিল বিজেপির। হাওড়া সদর-গ্রামীণ ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও নেতৃত্ব ছিলেন। হাজির ছিলেন সুনীল বনশল, সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিত মালব্য ছাড়াও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সঞ্জয় সিং, অনুপম মল্লিক, উমেশ রাই প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের পর থেকেই গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার গেরুয়া শিবির। সভা-সমাবেশে সেভাবে লোক হচ্ছে না। জেলা ও মণ্ডলস্তরে সাংগঠনিক বৈঠকেও কর্মীদের সেভাবে দেখা মিলছে না। পঞ্চায়েতের আগে সংগঠনের এই অবস্থা ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। বৈঠকে জেলা নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই স্বীকার করেন, বৈঠক ডাকলে খুব বেশি হলে ৬০ শতাংশ লোক আসছে। বনশল তাঁদের প্রশ্ন করেন, কেন বাকিরা আসছেন না? ঠিকমতো তাঁদের খবর দেন না তাহলে? সবাইকে নিয়ে চলার পথে খামতি থাকছে নেতৃত্বের, এটা স্পষ্ট করে দিয়ে বৈঠকে জেলা নেতাদের উদ্দেশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নতুন যিনি জেলা সভাপতি হচ্ছেন তিনি তাঁর পছন্দ মতো টিম করে নেন। সবাইকে জায়গা দেন না। এসব চলবে না।’