শেষমেশ রাজ্যসভার দলনেতার পদে বহাল থাকতে চলেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে? রাজনৈতিক মহলে শুরু এমনই জল্পনা। প্রসঙ্গত, দলীয় সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার পর রাজ্যসভার দলনেতার পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন খাড়গে। বছরের গোড়ায় উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের ঘোষণা মেনে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে খাড়গেই ফের রাজ্যসভার দলনেতার পদে ফিরতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথাই ঘোরাফেরা করছে কংগ্রেসের অন্দর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামীকাল শনিবার কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা সনিয়া গান্ধী প্রবীণ সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছেন। সেখানেই খাড়গেকে ফের রাজ্যসভার দলনেতা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছিলেন, তিনি একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যেতে চান। কিন্তু উদয়পুরে গৃহীত ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেহলটের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এখন উল্টো পথে হেঁটে খাড়গেকেই ফের রাজ্যসভার নেতা হিসেবে নিযুক্ত করার পথে হাঁটতে চলেছেন সনিয়া গান্ধী, এমনটাই কংগ্রেস সূত্রের খবর। যদিও দলের হাইকমান্ডের এমন ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যে পাল্টা মত তৈরি হয়েছে। দলের হিন্দিভাষী নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যসভার দলনেতার পদে হিন্দি বলয়ের কোনও নেতাকে বসানো উচিত। তাঁদের বক্তব্য, কর্নাটকের মানুষ খাড়গে দলের সভাপতি। লোকসভার দলনেতা হলেন বাংলার অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাই রাজ্যসভার দলনেতার পদে হিন্দিভাষী মুখ থাকলে ভারসাম্য রক্ষা হয়। সেই সূত্র তুলে ধরেই মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহের নাম রাজ্যসভার দলনেতা হিসাবে আলোচনায় ছিল। তবে সনিয়ার বৈঠকে ডাক পাননি দিগ্বিজয়। তিনি অবশ্য রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গী। কিন্তু রাজ্যসভার আর এক প্রবীণ সদস্য প্রাক্তন অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে না ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েও রাজনৈতিক মহলে মাথাচাড়া দিয়েছে নানান গুঞ্জন।