মোদীর আমলে তথৈবচ দশা দেশের অর্থনীতির। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও জ্বালানির লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি তথা আগুন দামের সঙ্গে যুঝে উঠতে নাজেহাল হয়েছে আমজনতা। এখনও মিলছে না রেহাই। পেট্রোপণ্যের মূল্যে বদল এল না ১৯৫ তম দিনেও। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছিল, দেশে পেট্রোওলের দাম লিটার প্রতি ১২ থেকে ১৪ টাকা কমতে পারে। কিন্তু কোথায় কী! জ্বালানি কিনতে গিয়ে কার্যত পকেট ফাঁকা হচ্ছে জনসাধারণের। ১৪ দূর অস্ত, এখনও ১ টাকাও কমল না জ্বালানির দাম। চলতি বছরের ২২শে মে শেষ জ্বালানির দরে পরিবর্তন এসেছিল। তখন পেট্রল ও ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটিতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে আর দাম কমেনি জ্বালানির। বিশেষ করে কলকাতা-সহ দেশের একাধিক শহরে জ্বালানির দর একেবারে থিতু হয়ে বসে গিয়েছে। মাঝে বিগত ৬ মাসের মধ্যে মুম্বই ও দিল্লীতে জ্বালানির দাম কমানো হলেও কলকাতার মানুষের কপালে তা জোটেনি।
তবে, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর কিন্তু বিগত সাড়ে ৬ মাসে অনেকটা কমেছে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে যে অশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ১২৭ ডলার, এদিন সেই ক্রুড অয়েল-এর দাম নেমে এসেছে প্রায় ৮৭ ডলারে। তবে এই দাম কমার ফলে কোনও প্রভাব পড়েনি দেশীয় বাজারে। অব্যাহত জ্বালানির চড়া দাম। কলকাতায় এদিন নিয়ে টানা ১৯৫ দিন যখন জ্বালানির দামে কোনও পরিবর্তন হল না। শহরে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম রয়েছে ১০৬.০৩ টাকা। অন্যদিকে প্রতি লিটারে ডিজেলের দাম রয়েছে ৯২.৭৬ টাকা। কলকাতার তুলনায় দিল্লীতে জ্বালানির দাম প্রায় ১০ টাকা কম। ফলে চড়া দরে নাজেহাল হচ্ছে কলকাতাবাসী। দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম মেট্রো শহরের মধ্যে সবচেয়ে চড়া রয়েছে মুম্বই শহরেই। এই শহরে পেট্রোলের দাম রয়েছে প্রতি লিটারে ১০৬.৩১ টাকা। অন্যদিকে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম রয়েছে ৯৪.২৭ টাকা। দেশের রাজধানী শহর দিল্লীতে কিন্তু জ্বালানি আরও সস্তা। এই শহরে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম রয়েছে ৯৬.৭২ টাকা। অন্যদিকে প্রতি লিটার ডিজেলের দর রয়েছে ৮৯.৬২ টাকা। দেশের দক্ষিণেও জ্বালানির দর উঁচু। চেন্নাইয়ে পেট্রোলের দাম রয়েছে ১০১.৯৪ টাকা। লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৮৭.৮৯ টাকা, সে শহরে।