আগামীকাল যেন বঙ্গ রাজনীতির ডার্বি। একদিকে, শান্তিকুঞ্জ থেকে ১০০ মিটার দূরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। অন্যদিকে, অভিষেকেরই লোকসভা কেন্দ্র ডায়মণ্ড হারবারে পাল্টা সভা শুভেন্দুর। অভিষেকের সভাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। প্রস্তুতি পর্বে যাতে এতটুকুও ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন কাঁথির তৃণমূলকর্মীরা। এ নিয়ে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কাঁথিতে সভা ঘিরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। বিপুল জনসমাগম হবে৷ রেকর্ড ভিড় হবে। আমরা সংগঠকেরা ভাবছি, এত লোকের আবদার মেটানো হবে কি করে?’
অন্যদিকে, এদিন শুভেন্দুর সভা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল। তাঁর কথায়, বিজেপি আসলে অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছে। কুণাল বলেন, ‘কেউ যদি বলেন বড় মাঠে সভা করব। আর সেই মাঠে যদি লোক না হয়, স্টেশনের পাশে মাঠে যেমন লোক হয়, তেমন হবে।’ এদিকে, রাজনীতির কারবারিদের অনেকেরই প্রশ্ন, হঠাৎ বেছে বেছে কাঁথিতেই কেন সভার আয়োজন? তা-ও আবার শান্তিকুঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে খাস অধিকারী গড়ে। এর জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘যাঁরা পুরসভা ভোটে নিজের ওয়ার্ডেই হেরে যান, তাঁদের আবার ‘গড়’ কী? তাছাড়া, কাঁথি তৃণমূলের প্রতীকে জেতা কেন্দ্র। সেটা কারও গড় বলে দেগে দেওয়া যায় না।’