ভোটের প্রাকলগ্নে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে গেরুয়াশিবির। এবার অভিনেতা তথা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা পরেশ রাওয়াল মন্তব্য নিয়ে শুরু শোরগোল। গুজরাটের সাম্প্রতিক একটি নির্বাচনী সমাবেশে তিনি মন্তব্য করেছেন, যে রাজ্যের বাসিন্দারা মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারে, তবে পাশের ঘরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা অভিবাসীরা নয়। তিনি আরও জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, লোকেরা তাদের গ্যাস সংযোগ দিয়ে বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন কিনা। ২৯শে নভেম্বর ভালসাদ শহরে বিজেপির পক্ষে প্রচারের সময় রাওয়াল এই বিবৃতি দেন।
প্রসঙ্গত, বাঙালিদের আমিষ খাওয়া নিয়ে উত্তর ভারতে, এবং ভারতের অন্য কিছু অংশেও হিন্দুত্ববাদীরা নাক সিঁটকোন। এমনকী দুর্গা পুজোয় নবমীতে বাংলায় যে বলির মাংস খাওয়ার উপাচার আছে তাতে জোর করে উত্তর ভারতীয় রামনবমীর প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে পদ্মশিবির। কলকাতায় উত্তর ভারতীয় নিরামিষ খাওয়ার সংস্কৃতি নিয়ে আসতে গিয়ে ভেগান গোষ্ঠিদেও সাহায্য নিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি, এরকমও শোনা যাচ্ছে। এমনকী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমিষাসী ছিলেন বলে তাঁর গরিমা খর্ব করেও উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নানান পোস্ট দেখা গেছে সমাজমাধ্যমে। ফলত, পরেশ রাওয়ালের মোট বিজেপি নেতাদের বাঙালিদের খাদ্যাভাস নিয়ে এরকম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।