এককথায় কুবেরের অর্থভাঁড়ার! ক্রমশই ফুলেফেঁপে উঠছে গেরুয়াশিবিরের রাজকোষ। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যতই তথৈবচ হোক না কেন, বেকারত্ব যতই বাড়ুক না কেন, পদ্মশিবিরের ভাণ্ডারের ধন যে অটুট আছে, তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে। সম্প্রতি, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনুদান প্রাপ্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অনুদান প্রাপ্তির নিরিখে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের শীর্ষে বিজেপি। বিজেপির ভাঁড়ারে সর্বমোট অনুদানের পরিমাণ ৬১৪ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকাই এসেছে দেশের ধনীতম নির্বাচনী ট্রাস্ট থেকে।
প্রসঙ্গত, উক্ত তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। মোট অনুদান পেয়েছে ৯৫.৪৬ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে আছে, কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এই দলের মোট অনুদান পেয়েছে ৪৪ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে শারদ পাওয়ারের এনসিপি পেয়েছিল ২৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। এবার সেটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৭ কোটি ৯ লক্ষ টাকা।।এরপরেই কেরলের শাসকদল সিপিএম এই দলের মোট অনুদানের পরিমাণ ১০.০৫ কোটি টাকা। পরিশেষে, বাংলার শাসক দল তৃণমূল অনুদান হিসেবে পেয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে তথ্য বলছে, সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলিয়ে যে অনুদান পেয়েছে, সেখানে বিজেপি একাই পেয়েছিল মোটের ৭৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে কমতি যায় না কংগ্রেসও। তারা পেয়েছিল মোট অঙ্কের ১১ শতাংশ। নির্বাচনের আগে প্রায় বিজেপির বিরুদ্ধে অন্য দল ভাঙিয়ে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র অভিযোগ করে আসছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশদের মতে, মূলত বিরোধী দলের বিধায়ক বা সাংসদ কেনার কাজে ব্যয় করা হয় বিজেপির এহেন বিপুল অর্থ।