মোদী রাজ্য গুজরাত যেন দেশের মধ্যে আরেকটি দেশ! কারণ এখানে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা অপরাধ! এখানে কয়েক হাজার চালু কারখানা রয়েছে। রয়েছে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকও। কিন্তু সারা মাস হাড়ভাঙা খাটুনির পর মাস পয়লায় হাতে আসে বড় জোর ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারপরেও সংগঠন ও রাজনীতিমুক্ত কারখানার গেট। সব জেনেও চুপ বাম নেতারা। গুজরাতে শোষণের বিরুদ্ধে শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলতে ব্যর্থ লাল ঝান্ডা।
প্রসঙ্গত, গুজরাতে অধিকাংশ জমি অনুর্বর। আবার বাংলার মতো ভূমি-সংস্কার হয়নি। তাই কারখানা করতে জমির অভাব হয় না। দেশি-বিদেশি উদ্যোগপতিরা শিল্প করতে তাই আসেন মোদী রাজ্যে। কলকারখানায় শ্রমিক আমদানি হয় সাধারণত বিহার, রাজস্থান, বাংলা ও মহারাষ্ট্র থেকে। শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে রয়েছে ঠিকাদাররা। সংস্থা কর্তৃপক্ষ সরাসরি নিয়োগ করে না। করলেও কোনওরকম শ্রমিক সংগঠন করা যাবে না বলে কার্যত মুচলেকা দিতে হয়।
ঠিকাদারের হাত ধরে আমেদাবাদ ডিটারজেন্ট পাউডার কারখানায় কাজ করতে আসেন নদিয়ার জয়ন্ত প্রামাণিক। ডিটারজেন্ট কারখানার করণিক তিনি। কিন্তু অস্থায়ী কর্মী। যতদিন কাজ ততদিনের বেতন চুক্তিতে। কাজের কোনও নিরাপত্তা নেই। জয়ন্ত জানান, সংগঠন তৈরি হচ্ছে এমন কথা কর্তৃপক্ষের কানে গেলেই বসিয়ে দেবে। এখানে কাজ করো, বেতন নাও। অন্যথা নতুন কাজ খুঁজে নাও। গোটা গুজরাত জুড়েই এই নিয়ম। এখানে ঝান্ডাবাজি চলবে না। নিয়োগের সময়েই মুচলেকা দিতে হয়।