হিঙ্গলগঞ্জে বনবিবির মন্দিরে গিয়ে শাড়ি, ধুতি,মালা, মিষ্টি,ফল-সহ একাধিক উপাচার সাজিয়ে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বসিরহাটের তারকা সাংসদ নূসরত জাহান, মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী ও প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখানে সামান্য জনসংযোগের পর গাড়িতে উঠে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সামশেরনগরে তাঁর জনসভা।
হিঙ্গলগঞ্জের মতো প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামে এই প্রথম পা পড়ল কোনও মুখ্যমন্ত্রীর। ২ দিনের সফরে সেখানে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই ঘোষণা করেছিলেন, বৃক্ষপুজো করবেন। সুন্দরবনবাসীকে বাঘ, কুমিরের হামলা থেকে বাঁচাতে প্রকৃতিকে তুষ্ট রাখার সংকল্প নিয়ে তিনি এসেছেন হিঙ্গলগঞ্জে। মঙ্গলবার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চড়ে হিঙ্গলগঞ্জে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সড়কপথে বনবিবির মন্দিরে যান।
একটি বড় ডালিতে মালা, মিষ্টি, শাড়ি, ধুতি নিয়ে মন্দিরের দেবীমূর্তিতে পুজো দেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে মন্দির চত্বরে একটি বড় গাছের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। ওই গাছে সবুজ রঙের শাড়ি জড়িয়ে দেন। এভাবেই বৃক্ষপুজো হল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। মন্দিরের কয়েকজনকে শাড়ি ও ধুতি প্রদান করেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাজির ছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা পর্বেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তারকা সাংসদ নুসরত জাহান। আকাশি-সাদা সালোয়ার কামিজে সাদামাটা রূপ দেখা গেল তাঁর।