আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসও দলীয় স্তরে একাধিক কর্মসূচি পালনে ব্যস্ত। ঠিক এই সময় কৃষ্ণনগর দিয়েই শুরু হচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সফর।
আগামী বুধবার, ৯ তারিখ তিনি কৃষ্ণনগরে জনসভা করবেন। সেই সভায় মমতা বন্দোপাধ্যায় কী বলেন, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের। নানা ইস্যুতে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এটি যেমন একটি বিষয়, তেমনই যেভাবে ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিজেপি, তা নিয়েই ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী দলের মন্ত্রীদের নিজের বার্তা দিয়েছেন।
সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের নানা এজেন্সি বাংলায় সক্রিয়। নানাভাবে প্ররোচনা দিয়ে এখানে হাঙ্গামা বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে। সরকারের বদনামের জন্য উঠেপড়ে তারা লেগেছে। সেইজন্যই ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনওভাবে এলাকায় যাতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে তা দেখতে হবে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর আগামী ৮ নভেম্বর কৃষ্ণনগর যাওয়ার কথা তাঁর। পরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ সেখানে রাজনৈতিক জনসভায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ তারিখ রানাঘাটের হবিবপুরে নদিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। তারপর তিনি ফিরবেন কলকাতায়। এই সফরে আগামী ৯ তারিখ রাজনৈতিক জনসভাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। ওই মঞ্চ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের সামনে নিজের বার্তা তুলে ধরবেন তৃণমূল নেত্রী। সেই বার্তার দিকে নজর সকলের। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দেওয়া হবে এখান থেকেই।