রবিবার সন্ধ্যায় মচ্ছু নদীতে কেবল ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মুখ পুড়েছে গুজরাতের বিজেপি সরকারের। মোদী রাজ্যে সরকারি অব্যবস্থা ও দুর্নীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। ১৪১টি তাজা প্রাণ চলে যাওয়ার দায় প্রশাসনের ঘাড়েই চেপেছে। গত সপ্তাহেই নবীকরণ করা হয়েছিল প্রায় ১৫০ বছর আগে তৈরি ব্রিটিশ আমলের ব্রিজটির। তারপরেও কীভাবে ব্রিজটি ভেঙে পড়ল সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সরব হয়েছে বিরোধীরাও।
যেমন বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাংলার শাসকদল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইটারে লেখেন, ‘ব্রিজ বানানোর কাট্মানি কিভাবে আদায় করতে হয়, কিভাবে মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে হয়, কিভাবে ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসাব্যবস্থাকে পঙ্গু করতে হয় এবং সর্বোপরই ডবল ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতা ক্ষতিয়ে দেখতে আসা করি বিজেপির কর্মকর্তারা গুজরাট যাবেন!’
অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সুরজেওয়ালা এই ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘এটি কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। পুরোটাই “ম্যান মেড”। এই মর্মান্তিক অপরাধের জন্য সরাসরিভাবে দায়ি গুজরাতের বিজেপি সরকার।’ পাশাপাশি, কেবলমাত্র ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েই দায় সাড়া যাবে না বলে আরও একটি টুইটে উল্লেখ করেন তিনি।
আবার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর মতে, ‘ব্রিজ ভেঙে পড়ার পিছনে কারা দায়ি জানতে সরকারের উচিৎ সঠিকভাবে তদন্ত করা। মাত্র কয়েকদিন আগেই নবীকরণ করা সেতু কিভাবে ভেঙে পড়ল তার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিৎ।’