এবার ক্যানসার আক্রান্ত ১৪ বছরের এক কিশোরের পা কেটে ফের তা জুড়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের এসএসকেএম হাসপাতাল। চিকিৎসা পরিভাষায় যেই অস্ত্রোপচারকে বলে রোটেশনপ্লাস্টি।
মুর্শিদাবাদ থেকে ছেলে রজতকে নিয়ে অবনী রায় কলকাতায় এসেছিলেন পিজি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে দেখাতে। সেখানে এক্স-রে করার পরেই ডাক্তারবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘রোগ বড় জটিল। সারাতে অপারেশন করতে হবে।’ এরপরই ছেলেকে ভরতি করে দেন অবনীবাবু। দুটো কেমোথেরাপির পর টানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় অস্ত্রোপচার চলে। আর তারপরেই দেখা যায় রজতের বাঁ পায়ের গোড়ালি সামনে চলে এসেছে। পাও অনেক ছোট! বস্তুত রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে এমন রেটোশনপ্লাস্টি এই প্রথম।
যদিও এই একই পদ্ধতিতে দরকারে ছোট পা বড় করাও সম্ভব বলছেন বিভাগীয় চিকিৎসকরা। তবে পূর্ণবয়স্কর ক্ষেত্রে এমনটা সম্ভব নয়। মোদ্দা কথা, হাত-পায়ের অস্থিসন্ধিতে কোনও টিউমার থেকে ক্যানসার হলে এমন অস্ত্রোপচার করে রোগীর প্রাণ বাঁচানো হয়। আর এসএসকেএম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মুকুল ভট্টাচার্য এবং সহযোগী ডা. কৌশিক নন্দী সেই কাজটাই করেছেন। ঘটনা হল বিশ্বে এমন অস্ত্রোপচার চালু হয় ২০১৮ সালে। কয়েক বছরের মধ্যেই এশিয়া তথা ভারতের মতো দেশগুলিতে এই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার শুরু হলেও তা নির্দিষ্ট কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেই সীমাবদ্ধ ছিল।