ব্রিটেনের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে মতপার্থক্যের জন্য গত ২০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এবার ব্রিটিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী সুয়েলা ব্রেভারমানকে ফেরালেন ঋষি সুনক। উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেমে দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন সুয়েলা।
প্রসঙ্গত, সুয়েলার ভারত-যোগ নিয়ে যতই আলোচনা হোক, তিনিও ঠিক ‘ভারত-হিতৈষী’ নন। বরং ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে বার বার তাঁর আলটপকা মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি ব্রিটেনে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে গন্ডগোলের নেপথ্যে অভিবাসী যোগ খোঁজেন। তিনি ভারতের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)-র ঘোর বিরোধী। এ হেন সুয়েলার মন্ত্রিত্বকালে অভিবাসীদের নিয়ে ‘কঠিন’ পদক্ষেপ করা হলে তাতে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুয়েলার ভারতীয় যোগ বলতে তাঁর বাবা ছিলেন গোয়ার বাসিন্দা। সুয়েলার মায়ের পূর্বসূরিদের বাসস্থান ছিল তামিলনাড়ু। গত অক্টোবরে সুয়েলা ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম-বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তিনি ব্যক্তিগত মেল আইডি থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের জরুরি নথি পাঠিয়েছিলেন এক সহকর্মীকে।
শোকজের মুখে পড়ে সুয়েলা যুক্তি দিয়েছিলেন, সেটি ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’। তবে কৃতকর্মের জন্য তিনি ক্ষমা চান এবং পদত্যাগ করেন। যদিও ব্রিটেনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, প্রধানমন্ত্রী লিজ়ই তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছিলেন। এর পর নানা ডামাডোলে লিজ় নিজেও পদত্যাগ করেছেন। ইতিমধ্যেই সুয়েলার নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। লেবার পার্টির এমপিরা বলছেন, সুনকের সঙ্গে তাঁর পূর্বসূরি বরিস জনসন বা লিজ় ট্রাসের কোনও পার্থক্য নেই।
ঘটনাপ্রবাহ বলছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলার বেশ কিছু মন্তব্য ‘ভারত-বিরোধী’। যেমন কিছু দিন আগেই সুয়েলা বলেছেন, ‘‘ভিসার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি।’ এর ফলে নয়াদিল্লীর নিশানা হতে হয়েছিল লন্ডনকে। এর পর হাউস অফ কমন্স-এ তিনি ব্রিটেনে সাম্প্রতিক ধর্মঘটের জন্য বিরোধী লেবার পার্টিকে দায়ী করে উপহাসের মুখে পড়েন তিনি।