বছরে ২ কোটি চাকরির সুযোগ তৈরির স্বপ্ন ফেরি করে ২০১৪ সালে দিল্লীর মসনদে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। তিনি ক্ষমতায় আসার পর আট বছর পার হয়ে গিয়েছে। বছরে দু’কোটি চাকরির দিশা তো দেখাতে পারেইনি তাঁর সরকার। উলটে বাড়ছে বেকারত্ব। এই আবহেই এবার ভারতে কম হারে কাজের সুযোগ তৈরি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। বুধবার এক টুইটে এ দেশে লগ্নি হচ্ছে না কেন সেই প্রশ্নও তোলেন ভারত সরকারের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা। এর আগে বহু অর্থনীতিবিদ বলেছেন বৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। যার হাত ধরে কর্মসংস্থান বাড়ে। একই কথা জানিয়ে কৌশিক বলেন, এক দশকের মধ্যে দেশে লগ্নি বৃদ্ধির হারও নেমে এসেছে অনেকটা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে বছরে দু’কোটি চাকরির ভোট-প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিয়ে বহুবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন মোদী। তাঁর দল (বিজেপি) এবং সরকার এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে কাজের সুযোগ বৃদ্ধির দাবি করে। তুলে ধরে স্টার্ট-আপে বিপুল লগ্নি এবং কর্মসংস্থান তৈরির কথা। কিন্তু এ নিয়ে আশাবাদী হতে নারাজ অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বরং তাঁরা যে চড়া বেকারত্ব নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, তা বার বারই উঠে এসেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন এবং অর্থনীতিবিদ কে আর শ্যামসুন্দরের কথায়। আর এবার টুইটে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদও বলেন, কাজের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের হাল খুবই খারাপ। কৌশিকবাবুর মতে, ‘এর অন্যতম কারণ, যে কোনও অর্থনীতির এগোনোর পিছনে বড় ভূমিকা থাকে বিনিয়োগের। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে ২০০৯ সালে সেই হার ছিল ৩৯.৩ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা নেমেছে ৩০.৭ শতাংশে।’ কেন লগ্নি হচ্ছে না, সেটাই এখন অন্যতম প্রশ্ন বলেও তুলে ধরে ধরেছেন তিনি।