গত ২ বছর করোনার দাপট, টানা লকডাউনের আর্থিক মন্দা, প্রিয়জনদের হারিয়ে মানুষ বিপর্যস্ত-অসহায় দিন গুনছিল! অবশেষে ভাল সময় এল। কাটল দুর্যোগের মেঘ! মারণ ভাইরাস করোনার প্রকোপ বর্তমানে অনকটাই কম! কাজেই, এবার পুজোয় আনন্দ লাগামছাড়া, আনন্দ দ্বিগুণ! খারাপ সময়ের অভিশাপ ভুলে মানুষ হাসছে, অফুরান ফূর্তিতে আত্মহারা!
আজ পঞ্চমী! আপামর বঙ্গবাসীকে পঞ্চমীর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইট করেন, ‘পঞ্চমীর এই শুভ দিনে, আমি সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। পুজোর উদযাপন পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে এবং আমাদের প্রিয় উৎসব এখন স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। এই জন্য আমি খুবই আনন্দিত। আসুন, আমরা সকলে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে, উৎসবকে আরও আনন্দমুখর করে তুলি’।
এ’বছর মহালয়ার তিন দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমার পায়ে পুষ্পাঞ্জলিও দিয়েছেন। উদ্বোধন করেন শ্রীভূমি, এফডি ব্লক ও টালা প্রত্যয়ের পুজো। বডিগার্ড লাইনস থেকে শুরু করে সুরুচি সংঘ, ভবানীপুর ২২ পল্লি, বকুলবাগান, প্রিয়নাথ মল্লিক, ভবানীপুর অবসর, ভবানীপুর গোলমাঠ, বালিগঞ্জ বাটাম ক্লাব, পদ্মপুকুর, চক্রবেড়িয়া, ভবানীপুর ৭৫ পল্লি, ভবানীপুর ৭৬ পল্লি, স্বাধীন সংঘের দুর্গাপুজোও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এখনও পর্যন্ত দু’দফায় জেলাজুড়ে ভার্চুয়ালি ৬৫০ টির ও বেশি পুজো উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে মহালয়ার দিন চেতলা অগ্রণী থেকে তিনি রাজ্য জুড়ে ২৬৩ টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার ত্রিধারা সম্মিলনী থেকে ৪০০ টিরও বেশি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। তৃতীয় দফায় আলিপুর বডিগার্ড লাইন থেকে ৩০০ টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রীর।