নারী নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বারবারই দেশকে লজ্জায় ফেলেছে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ। মাত্র তিনদিন আগে দুই দলিত নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য। যার ফলে মুখে পুড়েছিল যোগী সরকারের। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দলিত নির্যাতনের ঘটনা ঘটল সে রাজ্যে। এবার এক দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর তাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা সামনে এল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একের পর এক দলিত নির্যাতনে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল বিজেপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিলভিট জেলায় চলতি মাসের শুরুতে এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটে। যদিও তা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। জেলার কুনওয়ারপুর গ্রামে দুই ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এরপর নাবালিকার গায়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম নাবালিকাকে লখনৌয়ের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র তদন্তে নেমেছিল তারা। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে আসে দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। বুধবার সকালে গ্রামের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল দুই বোনের দেহ। নাবালিকাদের মায়ের অভিযোগ, মেয়েদের অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়। পরে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি পড়শি রাজ্য মধ্যপ্রদেশ (বিজেপিশাসিত) থেকেও এদিন কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। পুরুষ বন্ধুর সামনে থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ছয় অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন নাবালক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত। বাকিদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। দলিত নির্যাতনের এই ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও তৃণমূল। “যোগী আদিত্যনাথের নজরদারিতে উত্তরপ্রদেশ অপরাধের রাজধানীতে পরিণত হচ্ছে। প্রশাসন এবং পুলিশের নীরবতা জনগণকে এই জঙ্গলরাজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাস্তায় আসতে বাধ্য করেছে”, যোগী সরকারকে একহাত নিয়ে জানায় তৃণমূল। নিন্দায় সরব হয়েছে জনসাধারণ-সহ দেশের একাধিক মহলও।