দু’বছর করোনা মহামারী কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে সারা বিশ্ব। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সব। ২ বছরের হতাশাকে কাটিয়ে পুজোয় আনন্দের জোয়ারে গা ভাসাতে পুরোদমে কোমর বেঁধে তৈরি সাত থেকে সাতাশি। আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন। শেষ বেলার প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার পালা। তুঙ্গে কুমোরটুলির ব্যস্ততা। আর কলকাতার পুজো মানেই বাঙালির কাছে একটা আবেগ, রাত জেগে ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ মজা! এবার কলকাতার পুজোর নতুন সংযোজন নিউটাউন সর্বজনীন। ইতিমধ্যেই ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে বাঙালির প্রাণের পুজো দুর্গাপুজো। কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় নাম জুড়েছে দুর্গাপুজোর। ধর্ম এবং শিল্পকলার অভাবনীয় মেলবন্ধন ঘটে বাংলার এই উৎসবে। হেরিটেজ স্বীকৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এমনটাই। কোভিড পরবর্তী পুজো নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা এই বছর তুঙ্গে। গত দু’বছরে পুজোর আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল। তাই এই বছর পুজোর আনন্দকে চেটে পুটে উপভোগ করতে পুজোপাগল বাঙালির সাজো সাজো রব। আর তাতেই নবতম সংযোজন নিউ টাউন সর্বজনীন।
প্রসঙ্গত, নিউটাউনে প্রথমবার বাসিন্দাদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হতে চলেছে এই পুজোর। এমনিতে নিউটাউন জুড়ে ৮৭টি পুজো হলে সর্বজনীন পুজো এতদিন ছিল না। এবারেই প্রথম এমন অভিনব আয়োজন করতে চলেছেন নিউ টাউনবাসীরা। পুজোর প্রথম বছরেই সেরা চমক দর্শকদের উপহার দিতে কোন খামতি রাখতে চাইছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। ম্যাডক্স স্কোয়ারের ধাঁচে থাকছে বিশেষ ‘আড্ডা জোন’। থাকবে মেলা, ১০০ টির মতো স্টল থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে। এবার পুজোর থিম ‘বঙ্গজননী’। বিশেষ আর্কষণ হিসাবে মহিলা পুরোহিত এবং মহিলা ঢাকি দ্বারা সমগ্র পুজো পরিচালিত হবে বলে খবর। পুজোর উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন হিডকোর বর্তমান চেয়ারম্যান তথা কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম। রয়েছেন দেবাশিস সেন, সত্যম রায় চৌধুরীর মত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পুজোর থিমের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী প্রশান্ত পাল। শিল্পী বলেন, ‘কলকাতার বড় পুজোগুলিকে অনায়াসেই টেক্কা দেবে নিউটাউন সর্বজনীন। প্রতিমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘এটাই পুজোর বড় চমক। প্রথম পুজো উপলক্ষে কিছু তো বাড়তি আকর্ষণ থাকবেই দর্শকের জন্য”।