সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতাবাসীকে প্রায়শই শিকার হতে হচ্ছে সাইবার অপরাধের। বাড়ছে উদ্বেগ।
থানায় এফআইআর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এবার সে বিষয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতার নগরপাল। ১০ই সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের কর্তা ও থানার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ওই বৈঠকেই তিনি জানান, অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে অভিযোগকারীকেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কলকাতার কিছু থানায় এমন হচ্ছে। নগরপাল স্পষ্ট জানান, থানার আধিকারিকরা অভিযোগ নিতে চাইছেন না। অভিযোগকারীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। কেন এমনটা হচ্ছে, তা ওসিদের কাছে জানতে চেয়েছেন নগরপাল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হরিদেবপুর থানায় এমন এক ঘটনা ঘটেছে। পরে লালবাজার ওই থানার ওসির পদে রদবদলও করে। থানায় কেউ অভিযোগ করতে এলে তা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। কলকাতা আগেও পুলিশ নির্দেশিকা জারি করেছিল, অভিযোগ জানাতে এলে অভিযোগকারীকে থানা ফেরাতে পারবে না। সেই থানার ঘটনা না হলেও জিরো এফআইআর করে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠাতে হবে। কলকাতায় বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে মামলা হলেও পর্যাপ্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন, গতকালের সে প্রশ্নও তোলেন নগরপাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট কেন সময়মতো জমা পড়ছে না তা নিয়েও জানাতে চান বিনীত গোয়েল। এই বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ করতে ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধানে তল্লাশি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রতারণা আঁতুড়ঘর হল ভুয়ো কল সেন্টার। তাই কলকাতায় একটাও ভুয়ো কল সেন্টার না রাখার অভিযানে নামার ডাক দিয়েছেন বিনীত গোয়েল।
প্রসঙ্গত, শহরজুড়ে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেকটি ডিভিশনের সাইবার সেল ও লালবাজারের সাইবার থানার আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। সেই সঙ্গে গঙ্গা বা কলকাতার যেকোনো জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হলে তা শনাক্তকরণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেহ উদ্ধার হওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে যেন মৃতের ছবি তুলে কলকাতা ও প্রত্যেকটি জেলা এবং কমিশনারেটকে পাঠানো হয়। পুজোর আগে থেকেই অপরাধ দমনের জন্য থানা ও গোয়েন্দা বিভাগকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরশুমে ছিনতাই, পকেটমারি, চুরির মতো ঘটনা রুখতে প্রত্যেক ওসি ও গোয়েন্দা বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল।