কেটেছে করোনার প্রকোপ। সুস্থ জনজীবনে ফিরছে বাংলা। আর কোভিড অতিমারীর রেশ স্তিমিত হতেই ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে রাজ্যের পর্যটন শিল্প। বাংলায় হোম স্টে কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার। কেবল উত্তরে নয়, সারা বাংলাতেই এবার হোম স্টে গড়ে তুলতে আগ্রহী রাজ্য। গড়চুমুক ও গাদিয়াড়াকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ৮টি নতুন হোম স্টে চালু করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জানা গিয়েছে, শ্যামপুর ১ নং ব্লক প্রশাসন এবং পর্যটন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যেই হোম স্টেগুলি তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ন হয়ে এসেছে। রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই সেগুলি চালু করা হবে। মনে করা হচ্ছে, পুজোর আগেই পর্যটকদের টানতে গড়চুমুক ও গাদিয়াড়ায় ৮টি হোম স্টে চালু করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্যামপুর ১ নং ব্লক প্রশাসন ও পর্যটন দফতর যৌথভাবে শ্যামপুরের বেলাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিগত বছর প্রথম হোম স্টে চালু করেছিল। এরপর আরও ৮টি হোম স্টে চালু হতে চলেছে। নতুন ৮টি হোম স্টের মধ্যে বেলড়িতে ৪টি এবং গুজারপুর, বারখোলা, গাদিয়াড়া এবং ধান্দালি এলাকায় প্রতিটিতে একটি করে হবে হোম স্টে তৈরি হবে। হোম স্টে ছাড়াও গাদিয়াড়াকে কেন্দ্র করে পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন। হুগলি, রূপনারায়ণ ও হলদি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত গাদিয়াড়ায় এখন প্রায় সারা বছর পর্যটকরা ভিড় করেন। সম্প্রতি ব্লক প্রশাসন ও পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা গাদিয়াড়া পরিদর্শন করে গিয়েছেন। শিবপুর এলাকায় পার্ক, ক্যাফেটেরিয়া, শৌচালয় ও পর্যটকদের বসার জায়গা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাস্তাও সংস্কার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, গড়চুমুকে মিনি জু থাকায় তা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ফলে এই দুটি পর্যটন কেন্দ্রকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই হোম স্টে তৈরি করছে রাজ্য। যার ফলে উক্ত এলাকার ও স্থানীয়দের অর্থনৈতিক উন্নতিসাধন ঘটবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।