ফের বিপাকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার গরু পাচার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য তলব করল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৯ সালে শুভেন্দুর জন্য কোথায় কোথায় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের কাছে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিল সিআইডি। বিগত ২০১৯ সালের গরুপাচার মামলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সিআইডি। চলছে ধরপাকড়ও। এবার সেই তদন্তে নেমে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তথ্য তলব করল তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুশিদাবাদ তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। সেই পদে থাকাকালীন তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছেন, ক্রমানুসারে সেই তথ্য চেয়েছে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার এনামুল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জেনারুখ শেখকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এরপর একাধিক পঞ্চায়েত প্রধানকে রঘুনাথগঞ্জে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। সেই সূত্র ধরে এনামুল ঘনিষ্ঠ আলম শেখের নাম উঠে আসে। এরপর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিআইডি। আবার মুর্শিদাবাদের যে হোটেল থেকে গরুপাচার হত, সেই হোটেলও সিল করে দেওয়া হয়। জেরাপর্বে এনামুলের ভাগ্নে পিন্টু শেখের হদিশ মেলে। রঘুনাথগঞ্জের তাঁদের দু’টি চালকল সিল করে দেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, জেনারুল-সহ একাধিক সন্দেহভাজনদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বর্তমান বিজেপি বিধায়কের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য তলব করল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, ৯ তারিখ রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের লক্ষীজোলা গ্রামপঞ্চায়েতের ভাটুপাড়ায় যান সিআইডি আধিকারিকরা। প্রথমেই এনামূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আলম শেখের বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। তাঁর কয়েক কোটি টাকা মূল্যের তিনতলা বাড়ি দেখে রীতিমতো অবাক হন সিআইডির আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। তবে বাড়িতে ছিলেন না আলম শেখ। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি ও হার্ড ডিস্ক। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে সিআইডি। সেখান থেকেই তদন্তকারী আধিকারিকরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।