ভারতীয় রেলের পরিকাঠামো অনেকটাই পুরনো হয়ে গিয়েছে। আর তাই দেশে বিমান পরিবহণ শিল্পের বাজারের বিকাশ দ্রুতই ঘটছে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে এই ক্ষেত্রে দ্রুততম উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পাবে ভারত। এমনটাই মনে করে বোয়িং। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা এর সম্পূর্ণ উল্টো। কারণ গত দুই দশকে ভারতের ১৩টি বিমান সংস্থায় তালা ঝুলেছে। এই তালিকায় যেমন রয়েছে জেট এয়ারওয়েজ এবং কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মতো বড়সড় বিমান সংস্থা। তেমনি রয়েছে এয়ার কার্নিভ্যাল এবং এয়ার পেগাসাস ইত্যাদির মতো ছোটখাটো এয়ারলাইনসও। তবে এই তালিকা আরও লম্বা হবে যদি তাতে বন্ধ হয়ে যাওয়া কার্গো বিমান সংস্থাগুলিকেও ধরা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় করোনার তাণ্ডব। প্রায় দুই বছর ধরে চলা অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেক বিমান সংস্থা টিকে গিয়েছে। তবে ক্ষতিও হয়েছে যথেচ্ছ। যেমন ধরা যাক ট্রুজেট-এর কথা। ওই সংস্থা বারবার ঘোষণা করেছিল যে, তারা তাদের পরিষেবা আবার শুরু করতে চলেছে। কিন্তু তা বাস্তবে আর ফলেনি। এখানেই শেষ নয়, গো ফার্স্ট-এর আইপিও অতিমারীর সময় থেকেই বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও করোনা কালে প্রতি ত্রৈমাসিকেই স্পাইসজেট বিমান সংস্থার মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, অনুমান বা ভবিষ্যদ্বাণী এবং বাস্তবের মধ্যে ফারাক বিস্তর।