সমস্যা দূর করতে এবার উদ্যোগী হল খোদ জেলা প্রশাসন। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলায় একাধিক পাথরের খাদান রয়েছে। কিন্তু গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকা সহ বিভিন্ন পাথরের খাদানগুলি বন্ধ হয়ে রয়েছে। সমস্যা মূলত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে। পাথর খাদান মালিকদের একাংশ জানিয়েছেন, কাগজপত্র না থাকার কারণেই এই সব খাদানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই পাথর খাদানে কাজ করা বহু শ্রমিককে। শুধু পাথর খাদানে যাঁরা কাজ করেন তাঁরাই নন, এর পাশাপাশি এই পাথর খাদানের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য শিল্পগুলিও সমস্যায় পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমস্যায় পড়েছেন প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ। এমন সময়ে পাথর খাদান নিয়ে জট কাটাতে বীরভূম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন খাদানের মালিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের উক্ত বৈঠকের বিষয়ে খাদান মালিকদের তরফ থেকে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি। তবে বীরভূমের জেলাশাসক এই বিষয়ে জানিয়েছেন, বৈধতার ভিত্তিতেই পাথর খাদানগুলি চালু করতে হবে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি পলিউশন সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলির জন্যও বীরভূম জেলা প্রশাসন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান জেলাশাসক। জানা গিয়েছে, এদিন প্রশাসনের সঙ্গে এদিনের বৈঠকের পর পাথর খাদানের মালিকরা নিজেদের মধ্যে আরও এক দফা বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকের পরই খাদান মালিকরা তাঁদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাবেন। বীরভূমের বহু এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু পাথরের খাদান ও ক্রাশার। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র না থাকার কারণে বেশ কিছু পাথরের খাদান বন্ধ থাকায় চিন্তিত কর্মরত শ্রমিকরা। সুরাহা খুঁজতেই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন পাথর খাদানের মালিকদের সঙ্গে।