কেন্দ্রীয় পুলিশকে নিয়ে ফের শুরু বিতর্কের ঝড়। এবার দিল্লী পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিস্ফোরক অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লী পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলার। তারই সমালোচনায় সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের দেওঘর বিমানবন্দরে যান বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। অভিযোগ উঠেছে যে, জোর করে এটিসি কার্যালয় ঢুকে পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক পদ্ম-সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। নিশিকান্ত দুবের দাবি, বিমানবন্দরে রাতে উড়ান এবং অবতরণের সুবিধা না থাকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিমানবন্দরের ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে ডেপুটি কমিশনার এবং আইএস অফিসার মঞ্জুনাথ ভজন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নিশিকান্ত।
নিশিকান্ত বলেছেন, “আমায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার সন্তানদের হেনস্থা করা হয়েছে।” মঞ্জুনাথ ভজন্ত্রী কেন বিমানবন্দরে ঢুকেছেন। তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নিশিকান্ত দুবে। জবাবে মঞ্জুনাথ জানিয়েছেন, বৈধ প্রবেশাধিকার নিয়েই তিনি বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। এদিকে, দিল্লী পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দেশদ্রোহিতার আইন যথেচ্ছ প্রয়োগ করা যাবে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই ঝাড়খণ্ডের পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দিল্লী পুলিশে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে টুইটারে লেখেন, ” একটা মনগড়া এফআইআর করেছে দিল্লী পুলিশ। শুধুমাত্র নিজের কর্তব্য পালন করায় মঞ্জুনাথ ভজন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়েছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে। গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করার ওপর নিষেদধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। চিঠি লিখে দিল্লি পুলিশকে আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারি দিয়েছি।” অবিলম্বে ঝাড়খন্ড পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করা হলে দিল্লী পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে, এমনটাই দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। এখন পরিস্থিতি কোনদিকে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।