সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে চাকরিহারা প্রার্থীরা। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আপাতত ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পুরো প্যানেল বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ, তাতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। আর তারপরই পদ্মশিবিরকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে বিজেপি যে ‘বিস্ফোরক’ ছুড়েছিল, তা ‘নিষ্ক্রিয়’ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন যে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং বাংলার তৃণমূল সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিতেই সেই কাজটা করেছিল বিজেপি, এমনই জানালেন তিনি।
এদিন অভিষেকের কথায়, “বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকের ভিত নাড়িয়ে দিতে গত সপ্তাহে বিজেপি যে বিস্ফোরক ছুড়েছিল, তা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। সত্যের জয় হয়েছে। আমরা যাবতীয় প্রতিকূলকতা অতিক্রম করে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। জয় বাংলা।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যে ‘বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়’ করার কথা বলেছেন, তা সম্ভবত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ‘রাজনৈতিক বিস্ফোরণ’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করেছেন অভিষেক। গত ২২শে এপ্রিল এসএসসি মামলার রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, তার দু’দিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, “পরের সপ্তাহে এমন একটা রাজনৈতিক বিস্ফোরণ হবে যে তৃণমূল সামলাতে পারবে না।” স্বাভাবিকভাবেই সেই বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। শুভেন্দুর সেই মন্তব্য নিয়েই বিজেপিকে প্রবল আক্রমণ শানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। বিচারপতিদের নিয়েও প্রশ্ন তুলতে থাকেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। আজ সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের পরে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দুর সেই কথা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও সরব হয়েছেন।