শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে সমস্ত শিক্ষকদের কুর্নিশ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকরাই দেশে সমাজ গড়ার কারিগর। সমস্ত শিক্ষকদের সালাম জানাচ্ছি। তাঁদের অনুরোধ করব ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক চরিত্র গঠনের দায়িত্ব নিন’।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না। সমাজে ভালো মানুষ আছে, খারাপ মানুষও আছে। কী একটা খারাপ মানুষ, খারাপ কাজ করল, তার জন্য পুরো সমাজটাকে কুৎসা করে ক্ষোভ উগরে দিলাম। আর সবাইকে একই জায়গায় ফেললাম তা হয় না। কখনও কখনও ভালো মানুষও বিপথে পরিচালিত হয়ে যায়। সঙ্গদোষে পড়ে এমনটা হয়। তাঁদের আমাদেরই ভালো মানুষে পরিণত করতে হবে’।
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক দিবসে বলেন, ‘আমরা কেউ সোনার চামচ মুখে দিয়ে বড় হইনি। আমাদের শিক্ষকরা আমাদের গর্ব। তাঁদের জন্যই বাংলার ছেলেমেয়েরা বিশ্বের দরবারে রাজ্যকে গর্বিত করছে। বাংলাকে বিশ্বে গর্বিত করবেছে মেধা দিয়ে’।
প্রসঙ্গত, এদিন শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে একটি বাস্তব জীবনের ঘটনার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়িতে থেকে মানুষ হওয়া একটি অভাবী মেয়ে কী ভাবে আমেরিকায় চাকরি পেল, সেই বিষয়টিই জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘আমি এই জেনারেশন নিয়ে গর্ব করি। আমার বাড়িতে একটি মেয়ে মানুষ হয়েছিল। পড়াশোনা শেখানো হয়েছিল তাঁকে। একাদশ শ্রেণীতে পড়তে চাইছিল না সে। ওঁর মায়ের ইচ্ছে ছিল, মেয়েটি উচ্চশিক্ষিত হোক। এরপর নিজের পছন্দমতো ফ্যাশন টেকনোলজি নিয়ে দুর্গাপুরে সরকারি ‘আহরোন’-এ পড়াশোনা করল। একদিন জানতে পারলাম, পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে সে চাকরি নিয়ে আমেরিকায় চলে গিয়েছে। সেখানে নাকি ওর তিন লাখ টাকা মাইনে। একাদশ শ্রেণীতে যে কলেজে যেতে চাইছিল না। তাঁর এই উন্নতি শুনে গর্ব হল’।