নীতীশ কুমারের বিশাল একটা ছবি। সঙ্গে দু’লাইনের ছড়া— গত কয়েক দিন ধরে এমনই বড় বড় হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে বিহারের রাজধানী। তাতে লেখা রয়েছে, ‘বিহারে দেখা গিয়েছে, এ বার গোটা দেশ দেখবে।’ পটনার পথেঘাটে এই সমস্ত হোর্ডিং দেখে অনেকেই মনে করছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবেন নীতীশ কুমার।
মাসখানেক আগে বিহারের রাজনীতিতে বড় রদবদল ঘটে গিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে আরজেডির হাত ধরে নতুন করে সরকার গঠন করেছেন নীতীশ। তার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দেগে চলেছেন তিনি। দাবি করছেন, আগামী লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিতে তৈরি তাঁর দল। বিজেপি-বিরোধী সমস্ত দলকে একজোট করে লড়াইয়ের বার্তাও দিচ্ছেন নীতীশ।
বিহারে জনতা দল ইউনাইটেডের দু’দিনের বৈঠকে রবিবারও নীতীশের সমর্থনে স্লোগান শোনা গিয়েছে। নীতীশ অবশ্য সে সব স্লোগান থামিয়ে দিয়ে বলে ওঠেন, ‘আমার এক মাত্র লক্ষ্য হল, সমস্ত বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে একজোট করা। তারা যদি সকলে একজোট হয়, সহজেই বিজেপিকে হারিয়ে দেওয়া যাবে। আমি সেই চেষ্টাই করছি। এটাই এখন সবচেয়ে বেশি দরকার। অনেক দল থেকে আমার কাছে এই অনুরোধ করা হয়েছে।’
সোমবারই তিন দিনের দিল্লি সফরে যাচ্ছেন নীতীশ কুমার। সেখানে বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। নীতীশ বলছেন, ‘আমি হয়তো সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে পারব না, কারণ তিনি এখন দেশের বাইরে আছেন।’ একই সঙ্গে দেশের স্বার্থে বিজেপিকে সরাতে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে হাত মেলানোর বার্তাও দিয়েছেন তিনি।