সিবিআই-কে তদন্তে কোনও ধরনের সহযোগিতা করতে নারাজ বিহারের নতুন সরকার। শাসক জোটের সিদ্ধান্ত সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ অনুমতি বা জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নেবে বিহার সরকার।
সিবিআই দিল্লি পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের ৬ নম্বর ধারা বলে প্রতিষ্ঠিত। ওই ধারায় বলা আছে, কোনও রাজ্যে তদন্তের জন্য সিবিআইকে সেই রাজ্যের সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এটাই হল জেনারেল কনসেন্ট। প্রসঙ্গত, বাংলা-সহ সাতটি রাজ্য আগেই এই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়। বাকি রাজ্যগুলি হল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম, ছত্তিশগড়। মহারাষ্ট্রের আগের সরকারও অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। একনাথ শিন্ডে ক্ষমতায় আসার পর ফেরানো হয়েছে অনুমতি।
গত বুধবার ছিল বিহার বিধানসভায় নীতীশ সরকারের আস্থা ভোট। সে দিনই সাত সকালে সিবিআই হানা দেয় লালু প্রসাদের ঘনিষ্ঠ আরজেডি নেতাদের বাড়িতে। তারপরই জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা হয়েছে। সরকারের প্রধান দুই শরিক আরজেডি ও জেডিইউ এই ব্যাপারে সহমত হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
নয়ডার একটি মলে হানা দেয় সিবিআই। অভিযোগ, সেটি বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের। যদিও তিনি এই তথ্য অস্বীকার করেছেন। তবে, সিবিআইয়ের অন্তত ছয়টি মামলায় তেজস্বী সহ লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারের সদস্যের নাম আছে। এরমধ্যে স্বয়ং লালু প্রসাদের নাম আছে তিনটিতে।
